পুজো মাইক বন্ধ রাখা মানেই, পুজো বন্ধ তা এক কথায় বোঝাতে চান বর্তমান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (Lt Gen Retd. Jahangir Alam Chowdhury) ধর্ম উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে বক্তব্য পেশ করে তিনি বলেন, “আজান শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে থেকে নামাজ শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট পর্যন্ত কোনরকম বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ মণ্ডপ থেকে যেন স্পন্দিত না হয়” ধর্ম আমাদের বিভিন্ন শিক্ষা দেয় যা আমাদের জীবনে চলার পথে কাজে লাগে জীবনে বাধা-বিপত্তি কিংবা জীবনের সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া থেকে বিভিন্ন শিক্ষা পেয়ে থাকি। বাংলাদেশের ইসলামিক শিক্ষার বাংলাদেশের যুব সমাজকে ঠিক কি শিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষিত করেছে বা করছে তা বারংবার আমাদের কাছে সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমের দ্বারা সামনে আসে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তার বক্তব্যের মধ্যে হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি বা ধার্মিক নিয়মাবলী কে “এই ধরনের কার্যকলাপ” বলে ব্যক্ত করেন। যার দ্বারা ঠিক এটাই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ম বিদ্বেষী মনোভাব কতটা তীব্র। অপরদিকে বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা এ. এফ. এম. খালিদ হোসেন (A.F.M. Khalid Hossain) দাবি করেন এ বছর মাদ্রাসার ছাত্ররা হিন্দুদের দুর্গাপূজা মণ্ডপ পাহারা দেবে এতে এটা আবার প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক মনোভাব কতটা পরিমার্জিত । আর এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের পেছনে যারা জড়িয়ে আছে যেমন বলতে গেলে জামাত-ই- ইসলাম হেফাজত-ই- ইসলাম ,সহ আরও বিভিন্ন ইসলামিক প্রতিষ্ঠান সমূহ। সরকার পরিবর্তনের এক মাসের মধ্যে সর্বমোট 1068 টি হিন্দু পরিবারের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল ধর্মান্ধ মৌলবাদী মুসলমান গোষ্ঠীবৃন্দ, এমনকি বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান কার্য চালানোর সময় দেখা যায়, হেফাজত-ই- ইসলামের একজন ধর্মান্ধ স্বেচ্ছাসেবক এক হিন্দু ব্যক্তিকে খাবার ও পানীয় পরিষেবা দানের মাধ্যমে কলমা পড়াতে শুরু করে, এই সংক্রান্ত ভিডিও ওই স্বেচ্ছাসেবকটি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে। হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে এক দুদিন পর পর অভিনব বক্তব্য উঠে আসছে। কিন্তু হিন্দুদের উপর অত্যাচার, নিপীড়ন, বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন, জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা, ভারতের দালাল ইত্যাদি মন্তব্য করা সত্বেও সরকারের এ নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া নেই । অপরদিকে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সারজিস আলম মন্তব্য করেন যে, “হিন্দুদের এই দুর্বলতার কারণ ওরা নিজেরাই, তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে সে সময় অন্ধ ভোট দিয়েছিল|" বর্তমান পরিস্থিতি উপলব্ধ করে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের উত্তরায় 13 নম্বর ওয়ার্ডে মাঠে দুর্গামণ্ডপ বানানো এবং দুর্গাপূজা থেকে বিরত থাকার জন্য এক আন্দোলন চালাচ্ছে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রবৃন্দ ।